Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped


Title
বজ্রপাত থেকে নিরাপদ থাকতে নিজে জানুন অন্যকে জানান
Details

বজ্রপাত থেকে নিরাপদ থাকতে

নিজে জানুন অন্যকে জানান

 

এপ্রিল-জুন মাসে বজ্রবৃষ্টি বেশি হয়, বজ্রপাতের সময়সীমা সাধারণত ৩০-৪৫ মিনিট স্থায়ী হয়। এ সময়টুকু ঘরে অবস্থান করুন।

ঘন কালো মেঘ দেখা দিলে ঘরের বাহির হবেন না, অতি জরুরি প্রয়োজনে রবারের জুতা পড়ে বাইরে বের হতে পারেন।

বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গাঁ, খোলা মাঠ অথবা উচু স্থানে থাকবেন না।

বজ্রপাতের সময় ধানক্ষেত খোলা মাঠে থাকলে তাড়াতাড়ি পায়ের আঙ্গুলের ওপর ভর দিয়ে এবঙ কানে আঙ্গুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে থাকুন।

যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংইক্রটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন। টিনের চালা যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।

উঁচু গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার বা ধাতব খুটি, মোবাইল টাওয়ার ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন।

কালো মেঘ দেখা দিলে নদী, পুকুর, ডোবা বা জলাশয় থেকে দূরে থাকুন।

বজ্রপাতের সময় গাড়ীর ভেতর অবস্থান করলে, গাড়ির ধাতব অংশের সাথে শরীরের সংযোগ ঘটাবেন না, সম্ভব হলে গাড়ীটি নিয়ে কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।

বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি ও বারান্দায় থাকবেন না। জানালা বন্ধ রাখুন এবং ঘরের ভিতরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকুন।

বজ্রপাতের সময় মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ল্যান্ডফোন, টিভি, ফ্রিজসহ সকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন এবঙ এগুলো বন্ধ রাখুন।

বজ্রপাতের সময় ধাতব হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করবেন না। জরুরী প্রয়োজনে প্লাষ্টিক বা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করতে পারবেন।

বজ্রপাতের সময় শিশুদের খোলা মাঠে খেলাধুলা থেকে বিরত রাখুন এবং নিজেরাও বিরত থাকুন।

বজ্রপাতের সময় ছাউনি বিহীন নৌকায় মাছ ধরতে যাবেন না, তবে এ সময় সমুদ্র বা নদীতে থাকলে নৌকার ছাউনির নিচে অবস্থান করুন।

বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিড়ির ধাতব রেলিং, পাইপ ইত্যাদি ম্পর্শ করবেন না।

প্রতিটি বিল্ডিং এ বজ্র নিরোধক দন্ড স্থাপন নিশ্চিত করুন।

খোলাস্থানে অনেকে একত্রে থাকাকালীন বজ্রপাত শুরু হলে প্রত্যেকে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরে দূরে সরে যান।

কোন বাড়িতে যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তামুলক ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সবাই এক কক্ষে না থেকে আলাদা আলাদা পক্ষে যান।

বজ্রপাতে কেউ আহত হলে বৈদ্যুতিক শকে আহতদের মত করেই চিকিৎসা করতে হবে। প্রয়োজনে দ্রুত চিকিৎসককে ডাকতে হবে বা হাসপাতালে নিতে হবে। বজ্র আহত ব্যক্তির শাস-প্রশাস ও হ্রদ স্পন্দন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।  

Attachments
Image
Publish Date
06/03/2024
Archieve Date
06/03/2024